বাংলা ট্রাভেল ব্লগ
No Result
View All Result
  • বাংলা ট্রাভেল ব্লগ
  • অষ্ট্রেলিয়া
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • আফ্রিকা
  • আমেরিকা
  • অন্যান্য
  • বাংলা ট্রাভেল ব্লগ
  • অষ্ট্রেলিয়া
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • আফ্রিকা
  • আমেরিকা
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
বাংলা ট্রাভেল ব্লগ
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT
Home অষ্ট্রেলিয়া

ব্রিসবেনে এক রাত

হাবিব রহমান by হাবিব রহমান
in অষ্ট্রেলিয়া
ব্রিসবেনে এক রাত
Share on FacebookShare on Twitter

ব্রিসবেন অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি শহর। এটি কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী এবং ব্রিসবেন নদীর তীরে মোরটন উপসাগরের কাছে অবস্থিত একটি সমুদ্র বন্দর। ব্রিসবেন নদীতে ড্রেজ করে শহরটিতে সমুদ্রগামী জাহাজের আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশম এ শহরের প্রধান রপ্তানিকৃত দ্রব্য। অন্যান্য রপ্তানির মধ্যে আছে বরফজমা মাংস, চামড়া, চিনি, দুগ্ধজাত দ্রব্য, ভুট্টা, মুক্তার খোল এবং কয়লা। শহরটি রেলপথের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত প্রধান স্থানগুলির সাথে যুক্ত। গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র ব্রিসবেনে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পাকাকরণ, মোটরযান জোড়া লাগানো, মদ চোলাইকরণ, এবং কাঠ, কাপড়, তামাকজাত দ্রব্য, বুট ও জুতার উৎপাদন করা হয়।

 

ADVERTISEMENT

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বলা হয় বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি।ইউনেস্কো ১৯৮১ সালে এটাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বলে ঘোষনা দিয়েছে।এছাড়া মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর যে কয়েকটা বস্তু দৃশ্যমান তার মধ্যে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অন্যতম।অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করবো আর এই রিফটি দেখবোনা তাতো হবার নয়!তাই দর্শনীয় তালিকায় এই নামটি আগেই লিস্ট করেছিলাম।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ ভ্রমন শেষে আজ বিকালের ফ্লাইটে এসে যাত্রা বিরতি করেছি ব্রিসবেন এয়ারপোর্টে।নিউইয়র্ক থেকে কোন অবস্হাতেই সরাসরি কোন ফ্লাইট ম্যানেজ করতে পারিনি।যেজন্য রাস্তায় ব্রিসবেন এয়ারপোর্টে বিরতি দিতে হবে প্রায় ১৩ ঘন্টা ।কোয়ানটাস এয়ারের বিমানটি পার্থ ছেড়েছে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে।রাত নয়টায় এসে ল্যান্ড করেছে এখানে।হ্যামিল্টন আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে আমার পরবর্তী ফ্লাইট পরদিন সকাল সাড়ে দশটায়।এই দীর্ঘ সময় এয়ারপোর্টে বসে থাকা বিশেষ করে রাত জাগা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তাই আগে থেকেই এয়ারপোর্টের বেস্ট ওয়েস্টার্ন হোটেলে একটি রুম বুক করে রেখেছিলাম।এতে আমার এক ঢিলে দু পাখী মারা হবে।প্রথমত:রাত জাগতে হবেনা।আর দ্বীতিয়ত রাতে কিছুটা সময় শহরটি ঘুরে দেখতে পারবো।
ভ্রমনে বিমান বিরতির এই সুযোগটা সব সময় আমি কাজে লাগাই।২০১৮ সালে স্কানডেনেভিয়ান দেশগুলি ভ্রমনের সময় নরওয়ে থেকে সুইডেন যাবার পথে দীর্ঘ বিরতিতে ট্রমসো শহরটি ঘুরে দেখেছিলাম।আইসল্যান্ড থেকে কায়রো যাবার সময় এথেন্সে লম্বা বিরতিতে শহরটি ঘুরে দেখার সূযোগ হয়েছিলো।
আগেই জেনেছিলাম ব্রিসবেন অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলের একটি শহর। এটি কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী এবং ব্রিসবেন নদীর তীরে মোরটন উপসাগরের কাছে অবস্থিত একটি সমুদ্র বন্দর। ব্রিসবেন নদীতে ড্রেজ করে শহরটিতে সমুদ্রগামী জাহাজের আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পশম এ শহরের প্রধান রপ্তানিকৃত দ্রব্য। অন্যান্য রপ্তানির মধ্যে আছে বরফজমা মাংস, চামড়া, চিনি, দুগ্ধজাত দ্রব্য, ভুট্টা, মুক্তার খোল এবং কয়লা। শহরটি রেলপথের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত প্রধান স্থানগুলির সাথে যুক্ত। গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র ব্রিসবেনে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পাকাকরণ, মোটরযান জোড়া লাগানো, মদ চোলাইকরণ, এবং কাঠ, কাপড়, তামাকজাত দ্রব্য, বুট ও জুতার উৎপাদন করা হয়। ব্রিসবেন একটি সুপরিকল্পিত নগরী। এর রাস্তাগুলি চওড়া, এখানে বহু নগর উদ্যান ও অনেক আধুনিক দালান আছে। উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে আছে সংসদ ভবন, টাউন হল বা নগর ভবন, ব্রিসবেন জাদুঘর এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
১৮২৪ সালে ব্রিটেনের অপরাধীদের রাখার জন্য ব্রিসবেন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও প্রশাসক, তৎকালীন নিউ সাউথ ওয়েল্‌স রাজ্যের গভর্নর টমাস ব্রিসবেনের নামে শহরটির নামকরণ করা হয়। শহরটিকে ১৮৪২ সালে বসতি স্থাপনের জন্য খুলে দেয়া হয় এবং ১৮৫৯ সালে এটি নতুন রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের রাজধানীতে পরিণত হয়।
ব্রিসবেন শহরটি ‘সান শাইন স্টেট’ নামেও পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বলা চলে এই ব্রিসবেনকে।এখানে পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি যেমন ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড’ আছে। সারা বিশ্ব থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে আসে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই শহর জুড়ে বহুমুখী সংস্কৃতির চর্চা সারাবছর লেগেই থাকে। এই রাজ্যের আয়ের একটা বড় অংশ আসে বিদেশি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ থেকে।
ব্রিসবেনের আবহাওয়া অনেক ভালো। বরফ পরে না। সারাবছরই তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। যারা বিভিন্ন ঋতু পছন্দ করেন, তাদের জন্য তো ব্রিসবেন অসাধারণ। বছরের শেষের দিকে শুধু মাস দুয়েকের মত গরম পড়ে। বাংলাদেশে যখন ঠাণ্ডা পরে এইখানে তখন গরম পড়ে।
আগেই জেনেছিলাম ব্রিসবেনে প্রচুর বাংলাদেশীর বসবাস।আর এর পরিচয়ও পেলাম হাতে নাতে।এয়ার পোর্ট থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সির জন্য দাঁড়াতেই সিরিয়াল অনুয়ায়ী যে ট্যাক্সিটি এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো তার চালক একজন বাংলাদেশী।বিদেশে অনেক বাংলাদেশীকে দেখেছি তারা হীনমন্যতায় ভুগেন।পরিচয় দিতে কুন্ঠা বোধ করেন।দেশে হয়তো ভালো অবস্হানে ছিলেন।বিদেশে গিয়ে গাড়ী চালাচ্ছেন এটাই হয়তো তার কুন্ঠার বড় কারন।
আমার চালক আলমগীর খুবই সপ্রতিভ একজন মানুষ।দেশের বাড়ী কুমিল্লায়।দীর্ঘদিন এ দেশে আছেন।তাকে নিজের পরিচয় দিয়ে বল্লাম যাচ্ছি গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখতে।যাত্রা বিরতিতে থেমেছি এখানে।তিনি যদি অনুগ্রহ করে শহরটি ঘুরে দেখান তাহলে খুশী হবো।তিনি মিটার চালু করে নেমে পড়লেন রাস্তায়।
ব্রিসবেনের বড়রাস্তা ধরে গাড়ী চলছে শহরের দিকে।আলমগীর জানান,বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্রিসবেন এখানে আম্ব্রেলা সংগঠন।তাদের উদ্যোগে এখানে আড়ম্বরের সাথে পালিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো।এখানকার কিয়ংপার্কে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ শোভাযাত্রা।
তিনি আরো জানান ,৯০ দশকের দিকে ব্রিসবেনে বাংলাদেশীদের পরিমান ছিলো হাতে গোনা।আর এখন তা বেড়ে হয়েছে কয়েকহাজার।আছে বাংলা স্কুল এবং বাংলাদেশী পরিচালিত একটি কমিউনিটি রেডিও স্টেশন -যা শুনে খুব ভালো লাগলো।
আলমগীর গাড়ী থামালেন ব্রিসবেন নদীর পাড়ে।নদীর দুই পাশে সুরম্য হাই রাইজ দৃস্টি নন্দন ভবন।ভবনের আলোগুলি নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়ে ঝলমল করছিলো।তিনি জানান পুরো শহরটাই পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে।প্রতি সন্ধ্যায় এই নদীতে অনুষ্ঠিত হয় লাইট এন্ড লেসার শো।শত শত দর্শনার্থী তা উপভোগ করেন।এই নদীতে বিনে পয়সায় নৌ ভ্রমনেরও ব্যবস্হা রয়েছে।
এরপর একে বেকে গাড়ী চালিয়ে আলমগীর আমাকে নিয়ে একটি একটি পাহাড়চুড়ায়।জায়গাটার নাম মাউন্ট কোট-থা।বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায়,এখানে মধু পাওয়া যায়।আলমগীর জানান ,আদি বাসীরা এই পাহাড় থেকে মধু সংগ্রহ করতো।জায়গাটা সমুদ্র পৃস্ট থেকে ২৮৭ মিটার উঁচুতে।এখান থেকে পুরো ব্রিসবেন শহরটা দেখা যায়।পূর্নিমা রাতে এখানে এসে অনেকে সারা রাত থেকে চাঁদের আলোতে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করে থাকেন।
এরপর আমরা এলাম সমুদ্রের পাড়ে।জায়গাটা নাকি সার্ফারদের জন্য স্বর্গ।রাতের বেলা বলে সৈকতের শোভা উপভোগ থেকে বন্চিত হলাম।তবে এজন্য আমার আফসোসও ছিলোনা।কারন এমনিতেই আমি বিশ্বের দেশে দেশে ঘুরে ফিরে নানা দেশের সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করি।তা ছাড়াবিশ্বের সবচেয়ে বড়সাগর সৈকত আমার দেশের কক্সবাজারে।
আলমগীর আফসোস করে বলছিলো আমাকে ‘সাউথ ব্যাঙ্ক’ এ নিয়ে যেতে পারেনি বলে।একদিন থাকলে সখানে তিনি আমাকে নিয়ে যেতেন।তিনি জানান সাউথ ব্যাঙ্ক হচ্ছে একটা জনপ্রিয় জায়গা। অনেককিছুর পাশাপাশি এখানে মানুষের বানানো সমুদ্র সৈকতের মতো জায়গা আছে যেখানে বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে পারে। দেখলে বোঝাই যাবে না যে এটা একটা বানানো বিচ। একদম ফ্রি। আছে সহজ পার্কিং ব্যবস্হা।আপনি যেখানেই যান না কেন পাশেই কোথাও না কোথাও পার্ক খুঁজে পাবেন। ইচ্ছামতো বিশ্রাম নিতে পারবেন।

ব্রিসবেন শহরটি ঘুরে দেখতে গিয়ে রাত হয়েগিয়েঁছিলো।তাই আলমগীরকে বল্লাম গাড়ী ঘুরাতে।হোটেলে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিতে হবে।কাল সকালেই উড়াল দিতে হবে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উদ্দেশ্যে।
—-লেখক,সিইও-বাংলা ট্যুর।

ShareTweetPin
Previous Post

বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম-গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ

Next Post

সৌন্দর্যের শহর সিডনি

হাবিব রহমান

হাবিব রহমান

Related Posts

ঘুরে দেখা ক্যানবেরা
অষ্ট্রেলিয়া

ঘুরে দেখা ক্যানবেরা

মে ২৮, ২০২১
ক্যানবেরার পথে
অষ্ট্রেলিয়া

ক্যানবেরার পথে

মে ৪, ২০২১
সিডনি- সিটি অব সী গাল
অষ্ট্রেলিয়া

সিডনি- সিটি অব সী গাল

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
সিডনি-সিটি অব কালার’স
অষ্ট্রেলিয়া

সিডনি-সিটি অব কালার’স

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
হানি সিডনি ফানি সিডনি
অষ্ট্রেলিয়া

হানি সিডনি ফানি সিডনি

ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
সিডনি
অষ্ট্রেলিয়া

সৌন্দর্যের শহর সিডনি

ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
Next Post
সিডনি

সৌন্দর্যের শহর সিডনি

হানি সিডনি ফানি সিডনি

হানি সিডনি ফানি সিডনি

সিডনি-সিটি অব কালার’স

সিডনি-সিটি অব কালার’স

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (দুপুর ২:২৭)
  • ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)

Categories

  • অষ্ট্রেলিয়া
  • আফ্রিকা
  • ইউরোপ
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • Terms
  • Policy

© ২০২০ বাংলা ট্রাভেল ব্লগ.

No Result
View All Result
  • বাংলা ট্রাভেল ব্লগ
  • Category
  • Landing Page
  • Buy JNews
  • Support Forum
  • Contact Us

© ২০২০ বাংলা ট্রাভেল ব্লগ.